এক.
দেখতে দেখতে কিভাবে যেন হলের দিনগুলো পার হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু কোনভাবেই কোন কিছু ম্যানেজ হচ্ছিলনা আফজালের, না হচ্ছিল সিমুর সাথে বোঝাপড়ার বিষয়টি, না হচ্ছিল প্রজেক্টের প্রতি পূর্ণ মনযোগ দেয়া। বরাবরই অস্থিরচিত্ত মনের হওয়ায় তার ছটফটানো মনোভাবটি কখনোই কেউ ভালভাবে বুঝতে পারতোনা। এটা ভেবে ভেবে নিজের প্রতি নিজের রাগ আরো বেড়ে যেত আফজালের। অথচ রাব্বির কথা মনে হলেই তার কেমন কেমন লাগতে শুরু শুরু করে, বছরখানেকের মধ্যেই তার প্রিয় বন্ধুটি কিভাবে কিভাবে যেন সবকিছু সামলে সুমলে এখন পুরো কোট-প্যান্ট পড়া ভদ্রলোক সেজে বসেছে। সকালসন্ধ্যা অফিসের কাজ, অফিসের কাজ বলে চারপাশ সরগরম করে রাখা আর সপ্তাহান্তে বেড়াতে যাওয়া, শ্বশুড়বাড়ির লোকদের সামনে পড়লেই একেবারে বিনয়ের অবতার হওয়া আর দেখা হওয়া মাত্রই বলে ওঠা গা জ্বলানো কথাবার্তা:
“কিরে কি খবর তোর? আর কতো দিন একা একা থাকবি? বিয়েথা করে ফেল এবার, আমিতো প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকি তাই তোর কথা ঠিকমতো স্মরণ করতে পারিনা, এ সকল প্রেমের ব্যাপার স্যাপার বাদ দে, ফালতু সময় নষ্ট”
এটা মনে হওয়া মাত্রই নিজের অজান্তেই বালিশের উপর আরো একটু জোরে মুচড়ে দেয় সে। কি করবে সে ভাবতে পারছেনা, হেরে যাওয়ার ছেলে সে কোনকালেই ছিলনা। স্কুল বেলার কথাটিই সবার প্রথমে মনে আসে তার, ক্যাপ্টেন না থাকাতে ইংরেজী ম্যাডাম তাকে বললেন শপথ করানোর জন্য, সুন্দর মতোন শপথ শেষ করলো সে, কিন্তু ম্যাডাম তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, আরো জোড় গলায় বলার জন্য, এটুকু শোনামাত্রই সে ম্যাডামের মুখের উপর বলে দিয়েছিল “জোড়েইতো বললাম, শুনতে পাননা নাকি?” সাথে সাথেই সকলেই হাসাহাসি শুরু করেছিলো আর ম্যাডামের মুখখানা হয়েছিল দেখার মতো!
রাব্বি ক্লাস এইটে বৃত্তি পরীক্ষার জন্য টেস্ট পেপার কিনতে... continue reading
দেখতে দেখতে কিভাবে যেন হলের দিনগুলো পার হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু কোনভাবেই কোন কিছু ম্যানেজ হচ্ছিলনা আফজালের, না হচ্ছিল সিমুর সাথে বোঝাপড়ার বিষয়টি, না হচ্ছিল প্রজেক্টের প্রতি পূর্ণ মনযোগ দেয়া। বরাবরই অস্থিরচিত্ত মনের হওয়ায় তার ছটফটানো মনোভাবটি কখনোই কেউ ভালভাবে বুঝতে পারতোনা। এটা ভেবে ভেবে নিজের প্রতি নিজের রাগ আরো বেড়ে যেত আফজালের। অথচ রাব্বির কথা মনে হলেই তার কেমন কেমন লাগতে শুরু শুরু করে, বছরখানেকের মধ্যেই তার প্রিয় বন্ধুটি কিভাবে কিভাবে যেন সবকিছু সামলে সুমলে এখন পুরো কোট-প্যান্ট পড়া ভদ্রলোক সেজে বসেছে। সকালসন্ধ্যা অফিসের কাজ, অফিসের কাজ বলে চারপাশ সরগরম করে রাখা আর সপ্তাহান্তে বেড়াতে যাওয়া, শ্বশুড়বাড়ির লোকদের সামনে পড়লেই একেবারে বিনয়ের অবতার হওয়া আর দেখা হওয়া মাত্রই বলে ওঠা গা জ্বলানো কথাবার্তা:
“কিরে কি খবর তোর? আর কতো দিন একা একা থাকবি? বিয়েথা করে ফেল এবার, আমিতো প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকি তাই তোর কথা ঠিকমতো স্মরণ করতে পারিনা, এ সকল প্রেমের ব্যাপার স্যাপার বাদ দে, ফালতু সময় নষ্ট”
এটা মনে হওয়া মাত্রই নিজের অজান্তেই বালিশের উপর আরো একটু জোরে মুচড়ে দেয় সে। কি করবে সে ভাবতে পারছেনা, হেরে যাওয়ার ছেলে সে কোনকালেই ছিলনা। স্কুল বেলার কথাটিই সবার প্রথমে মনে আসে তার, ক্যাপ্টেন না থাকাতে ইংরেজী ম্যাডাম তাকে বললেন শপথ করানোর জন্য, সুন্দর মতোন শপথ শেষ করলো সে, কিন্তু ম্যাডাম তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, আরো জোড় গলায় বলার জন্য, এটুকু শোনামাত্রই সে ম্যাডামের মুখের উপর বলে দিয়েছিল “জোড়েইতো বললাম, শুনতে পাননা নাকি?” সাথে সাথেই সকলেই হাসাহাসি শুরু করেছিলো আর ম্যাডামের মুখখানা হয়েছিল দেখার মতো!
রাব্বি ক্লাস এইটে বৃত্তি পরীক্ষার জন্য টেস্ট পেপার কিনতে... continue reading
Comments (2)
ক্লাসিক চিঠি দেখি
দারুণ আবেগী - ভালোবাসাময় লেখা।
আমি মুগ্ধ -
ধন্যবাদ কবি সাব।
লজ্জা পাবেন কেন?
সত্যি সুন্দর একটি চিঠি।
অনেক ধইন্যবাদ নীল দা !
ক্লাসিক শুইনা লজ্জা পাইতেছি !
দারুন লাগলো
thanku !