সাদার ওপর সবুজ ডোরাকাটা বাসটা আসতে দেখেই মন টা ভালো হয়ে গেলো শফিকের। সবুজ-সাদার মিশ্রণে রাঙানো এই বাসটি 'সিটিং বাস' নামে প্রচলিত। তবে, বলা বাহুল্য, কার্যত এ বাসটি কখনো 'সিটিং' হিসেবে চলেনা। অবশ্য এ বাসে দাঁড়িয়ে যাওয়া যাত্রীও বেশী নেয়া হয়না। হয়ত নামের প্রতি কিছুটা সুবিচার করবার জন্যই, কিংবা হয়তো স্রেফ চক্ষুলজ্জার খাতিরেই। হরফে লেখা 'সিটিং সার্ভিস' কথাটার কিছুটা ওজন আছে বটে। সিটিং সার্ভিস এর 'দি হরিণী পরিবহন' নন সিটিং এর 'সুগম যাত্রা' কিংবা 'সকাল-আলো' বাসের চেয়ে অনেক পরিষ্কার, ভাড়ায় একটু বেশী আর যাত্রীদের কোয়ালিটিও ভালো। গা থেকে তীব্র পেঁয়াজের গন্ধ আসতে থাকা তেল চটচটে বোরখা পরা এক বুড়ী পাশের সিট থেকে আচমকা 'হোঁৎ' করে গায়ের শার্টের ওপর শিকনী ফেলে দেবেনা। শিকনী ফেলা বুড়ী কিংবা খ্যাঁস খ্যাঁস করে হাতের দাদে চুলকাতে থাকা কোন ছোটলোক শালার পুতই ভদ্রতর এই বাসে উঠতে চায় না। নিশ্চিতভাবেই, তাদের এই অনিচ্ছা সিটিং বাসের বেশী ভাড়ার জন্যই। সিটিং আর ননসিটিং বাসের সিট সংখ্যা আসলে একই, যাত্রী ধারণক্ষমতাও এক। তবে সিটিং বাসে সবগুলো সিট ভর্তি হয়ে মোটামুটি জনা দশেক লোক দাঁড়িয়ে থাকলে বাস ছাড়ার জন্য উপযুক্ত হয়েছে বলে মনে করা হয়। এ বাস লোকাল বাসের জগতে কুলীন সমাজের অন্তর্গত। অনুজপ্রতীম ভাঙাচোরা, বয়সের ভারে জীর্ণ আর জং ধরা নন সিটিং লোকাল বাসগুলোতে সিটের প্রায় সমান সংখ্যক যাত্রী দাঁড় করিয়ে নেয়া হয়। যাঁরা এ ইঁদুর দৌড়ে আগে এসে বসে যান সিটগুলোতে, তাঁরা তো বসেই যান। বাকিরা কেউ অন্যের পিঠের ওপর হেলান দিয়ে, কারো পায়ের ওপর পা রেখে কিছু টের না পাবার ভঙ্গি করে দাঁড়িয়ে যেতে থাকেন। কেউ কেউ 'অবলা' জাতি নারীদের অবলতা, ব্রীড়া ও কোমলতার সুযোগ নিয়ে 'মহিলা সিটে'...
continue reading
Comments (0)
খুব ভালো লাগলো শুভকামনা জানালাম
সিদ্দিকী দা
কবিতা ভাল লাগার জন্য
অশেষ ধন্যবাদ
ভাল থাকুন———–
চমত্কার! কবিকে অভিনন্দন।
কেতন দা
অশেষ ধন্যবাদ
ভাল থাকুন———–