মিঃ নজরুল ইসলাম,এস পি,জামালপুর এর কথা।
সমাজে কিছু কিছু মানুষ আছেন-যাঁদের হাতে থাকে অসীম ক্ষমতা,এটা তারা পান পারিবারিক সূত্রে,নিজ প্রচেষ্টায় বা চাকুরির সুবাদে।চাকুরির ক্ষেত্রে কোনো কোনো পদের চেয়ার এতটাই ভারি যে ওখানে যাঁরা বসেন তাঁরা ক্ষমতায় প্রায় ঈশ্বরের সমান-এমন কি কোনো তর্কে না গিয়েও বলা যায়-ঈশ্বরের চেয়েও অধিক ক্ষমতাশীল।তাঁরা দিন কে রাত এবং রাত কে দিন করতে পারেন-যা ঈশ্বর ও পারেন না।সেই ক্ষমতা যদি তারা মানুষের এবং সমাজের কল্যাণে এতটুকু ও ব্যয় করেন তবে মানুষের অসীম উপকার হয়। আর তা না করে যদি তাঁরা তা নিজের স্বার্থের জন্য করেন তবে শুধু তাঁরা ব্যক্তিগতভাবেই লাভবান হন-সমাজ তাদের কাছ থেকে কিছুই পায় না।
এমনই একজন মহান ব্যক্তির চালচিত্রের কথা সম্প্রতি উঠে এসেছে আমাদের নজরে- যিনি ক্ষমতাটাকে শুধু নিজের স্বার্থের জন্য ব্যয় না করে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজে লাগিয়েছেন।ধারনা করছি তিনি বরাবরই তা করে আসছেন এবং করে যাবেনই ।হয়তো আমরা তা জানবো না।কেননা এধরনের মহান ব্যক্তিরা তাঁদের দায়িত্বশীলতার কাজটি আমাদের পাদপ্রদীপের আলোয় আনতে চান না।এঁরা নিজের ঢোলটা নিজে পেটান না-যা করেন অন্যরা।
হ্যাঁ,গত ক’দিনের সংবাদের শিরোনামে যিনি চলে এসেছেন তাঁর মহৎ কাজের বদৌলতে-তিনি মিঃ নজরুল ইসলাম,জামালপুরের শ্রদ্ধেয় পুলিশ সুপার।এই পদটি অত্যন্ত ক্ষমতাসম্পন্ন,গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল।এ সকল পদে যাঁরা থাকেন তাঁরা একটু আন্তরিক হলেই সাধারণ মানুষের জন্য অনেক মঙ্গল করতে পারেন।মিঃ নজরুল ইসলাম তা করেছেন।দেশের আরো শত শত উচ্চ পদধারি কর্মকর্তা ও ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে তাঁর নামটা উঠে আসার পেছনে তাঁর কৃত্কর্মের আলোর বিচ্ছুরণটা আমরা দেখতে পেয়ে তাঁকে চিনে নিতে পারলাম।
জামালপুর কারাগারের নির্দোষ এক কয়েদি দম্পতির মুক্তির বিষয়টা এবং অতীতে অসহায় প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িটা প্রভাবশালীদের খপ্পর থেকে উদ্ধার করেছিলেন তা আমাদের জন্য স্মরণীয় বিষয়।দেশের সবাই নয়,অন্ততঃ অর্ধেক কর্মকর্তা ও শক্তিমান ব্যক্তিরা যদি মিঃ নজরুল ইসলামের মতো একটু আন্তরিকতার সাথে নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক দায়িত্বটুকু পালন করতেন তাহলে দেশের চেহারাটাই পাল্টে যেতো।
জয়তুঃ মিঃনজরুল ইসলাম !
Comments (6)
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাই না
কেন মেঘ আসে হৃদয় আকাশে
তোমারে দেখিতে দেয় না ॥
ক্ষণিক আলোকে আঁখির পলকে
তোমায় যবে পাই দেখিতে
হারাই হারাই সদা ভয় হয়
হারাইয়া ফেলি চকিতে ॥
কী করিলে বলো পাইবো তোমারে
রাখিব আঁখিতে আঁখিতে
এতো প্রেম আমি কোথা পাবো না
তোমারে হৃদয়ে রাখিতে।
আর কারো পানে চাহিব না আর
করিব হে আমি প্রাণ পণ
তুমি যদি বলো এখনি করিব
বিষয়-বাসনা বিসর্জন।।
আমি এ গানটি যখন শুনি তখন আপ্লুত হই, আবেগে ভাসি। কই যে হারাই নিজেও বুঝিনা। চিরদিন তার দেখা পাবার আশায় বিবাগী দুপুরের কাছে ছায়া হয়ে থাকি
পোষ্টে ভালো লাগা রইল ভাইজান। শুভেচ্ছা নিরন্তর জানবেন।
আমি এ গানটি যখন শুনি তখন আপ্লুত হই, আবেগে ভাসি। কই যে হারাই নিজেও বুঝিনা। চিরদিন তার দেখা পাবার আশায় বিবাগী দুপুরের কাছে ছায়া হয়ে থাকি আমার কিছু বলার রাখলে না! শুভেচ্ছা।
তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট খুব ভাল লেগেছে কাবুল দা। ভাল থাকুন সতত। আর এরকম পোষ্ট লিখে আমাদের জানার পরিধি বাড়িয়ে দেবেন এই কামনা।
আমি তো তোমাদের সাথে সাথেই থাকার চেষ্টা করি। তোমরা পেছনে ফেলে দাও আমাকে। ভালো থেকো। শুভ সন্ধ্যা।
এই বিষয়ে আমার জ্ঞান শুন্যের কোঠায়। আপনার পোষ্ট পড়ে কিছুটা জানার চেষ্টা করলাম। গানের লিংকটা দিয়ে ভালো করেছেন। এখন শুনছি। অসাধারণ গান। ধন্যবাদ কাবুল দা।
আমিই বা কতটুকু জানি! কিছু বলার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। শুভ কামনা।