Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ব্লগার বাঙ্গাল

৯ বছর আগে লিখেছেন

সম্পদে নারীর উত্তরাধিকার

মানব সমাজ যদি হয়ে থাকে নারী পুরুষের একটি সংমিশ্রিত রূপ, তবে সন্দেহ নেই নারী সে সমাজের ভারসাম্যের প্রতীক ও নিয়ন্ত্রণকারী সত্বা। নারী পরম শ্রদ্ধেয় মা, আদরের বোন, প্রেমময় স্ত্রী কিংবা স্নেহভাজন কন্যা হিসেবে পুরুষের অর্ন্তজগতকে নিয়ন্ত্রণ করে অঘোষিতভাবে। মহান আল্লাহর সৃষ্টির সহজাত প্রক্রিয়ায় নারী ব্যতীত বা নারীর সক্রিয় উপস্থিতি ছাড়া একটি সুন্দর, ভারসাম্যপূর্ণ ও সৃজনশীল সমাজ আশা করা যায় না। এজন্যেই মানব জাতির জন্য আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান ইসলাম নারীকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছে।  তাকে বসিয়েছে মর্যাদার সুমহান আসনে এবং নিশ্চিত করেছে তার সামগ্রিক অধিকার। সন্তানকে মার সঙ্গে সর্বোচ্চ সদাচরণ ও সেবার আদেশ দেওয়া হয়েছে। স্বামীকে দেওয়া হয়েছে স্ত্রীর ভরণ-পোষণসহ সার্বিক অধিকার আদায়ের আদেশ এবং কন্যা সন্তানের সঠিক লালন পালন ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে প্রবলভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে তার বাবাকে। অথচ জাহেলি যুগে সেই মা-বোন-স্ত্রী-কন্যারাই চরম লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার শিকার হতো। এ নির্জলা সত্যের নীরব সাক্ষী হয়ে আছে বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাস। কিন্তু যারা ইসলামকে সঠিকভাবে জানে না বা জেনেশুনেও বিবেক যাদের শিকলবন্দি এবং দৃষ্টি যাদের একচোখা তারা প্রতিনিয়ত নারীকে ব্যবহার করে আসছে তাদের বিভিন্ন অসৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে। বিভিন্ন সময় তথাকথিত নারী আন্দোলনের নামে ইসলামকে সরাসরি নারীর মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করে আসছে।
বক্ষ্যমান নিবন্ধে আমরা নারীর উত্তরাধিকারে ইসলামি বিধানের যৌক্তিকতা এবং কথিত নারীবাদীদের দাবির অসারতা তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
ইসলামি উত্তরাধিকার বিধানের বৈশিষ্ট্য ও মূলনীতি: ইসলামি উত্তরাধিকার বিধানে নারীর অধিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার আগে ইসলামি উত্তরাধিকারের কিছু বৈশিষ্ট্য ও মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। যেহেতু আলোচ্য বিষয়ের সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে তাই আলোচানা অপ্রাসঙ্গিক হবে না। এতে অনেক সংশয়েরও অবসান ঘটবে।
ইসলাম সুষম বন্টনে বিশ্বাসী, সম বন্টনে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

    নতুন দিনের নতুন আশায়
    গত যত ভুল ভ্রান্তি
    প্রতিদিন প্রথম প্রভাতে
    ছুঁড়ে ফেলে ছুটব বিশ্বে
    আজ হতে আপন কাজে।

    -----------khub valo laglo

     

    • - রুদ্র আমিন

      জেনে ভাল লাগল সরোয়ার জাহান ভাইজান। বাংলা নববর্ষ ১৪২১ সবার জীবনে বয়ে আসুক অনাবিল আনন্দ। শুভনববর্ষ।

    - প্রহেলিকা

    কত সরলভাবে আপনি বলে গেলেন কাব্যিক কথামালা। ভালো লাগা রেখে গেলাম। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন।

    • - রুদ্র আমিন

      বাংলা নববর্ষ ১৪২১ সবার জীবনে বয়ে আসুক অনাবিল আনন্দ। শুভনববর্ষ। সরল মানুষ হয়েই থাকতে চাই প্রহেলিকা ভাইজান। দোয়া করবেন।

    - মাঈনউদ্দিন মইনুল

    সুন্দর আবাহন....

    কবিতায় ভালো-লাগা। সেদিন অনেক ভালো কেটেছিল সময়।

    • - রুদ্র আমিন

      সত্যি ভাইজান। খুব ভাল লেগেছিল,

      স্মৃতিপাতায় রেখেছি 

      সেই শুভক্ষণ,

      যেখানে থাকলে কোনদিনই

      যায় না ক্ষয়ে, এই মনের মন্দিরে।

       

ব্লগার বাঙ্গাল

৯ বছর আগে লিখেছেন

ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মমর্যাদাবোধ

ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে আত্মমর্যাদাবোধ হচ্ছে শরাফতের মূল চাবিকাঠি। আত্মমর্যাদাবোধ শূন্য ব্যক্তি মেরুদণ্ড সোজা করে চলতে পারে না এবং কারো কাছেই সম্মানের পাত্র হতে পারে না। এটা অর্জন করতে হলে উন্নত নৈতিকতাবোধে উজ্জীবিত একজন মানুষকে চোখ-কান-বুদ্ধি-দক্ষতা খোলা রেখে তার কথাবার্তা আচার-আচরণ পোশাক-পরিচ্ছদ সব কিছু সামলে চলতে হয়। তাকে খেয়াল রাখতে হবে এই আত্মমর্যাদা রক্ষা করতে যেন কোনো অবস্থাতেই হীনমন্যতাবোধ বা অহঙ্কারের বিষবাষ্পে সে আচ্ছাদিত না হয়। কেননা ইসলাম বলে : অহঙ্কারী লোকের জন্য বেহেশত হারাম। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন :
وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ ﴿18﴾ وَاقْصِدْ فِي مَشْيِكَ وَاغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ إِنَّ أَنْكَرَ الْأَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِيرِ ﴿19﴾
তুমি মানুষের সামনে গাল ফুলিও না এবং মাটিতে দেমাক করে পা ফেলো না। কেননা আল্লাহ কোনো উদ্ধত অহঙ্কারীকে ভালোবাসেন না। তুমি সংযতভাবে পা ফেলো ও তোমার গলার আওয়াজ নিচু করো গলার আওয়াজের ভেতর গর্দভের গলাই সবচেয়ে শ্রুতিকটু। (সূরা লোকমান : ১৮-১৯)
কেউ যদি সুন্দর পোশাক বা সুন্দর কোনো পছন্দনীয় জিনিস ব্যবহার করে তা কিন্তু মোটেও অহঙ্কারের পর্যায়ে পড়ে না। কেননা আল্লাহতায়ালা নিজে সুন্দর, সুন্দরকে স্বাগত জানিয়েছেন। অহঙ্কার হচ্ছে : সত্য ও যথার্থ অবস্থাকে অস্বীকার করা এবং মানুষকে হেয় জ্ঞান করা। (তিরমিজি শরিফ)
আত্মমর্যাদা একজন মানুষের সম্মান শৌর্য ও নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে পারে। নারী-পুরুষ উভয়কেই কিন্তু তার দৈনন্দিন ও সামাজিক জীবনাচারণের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে যেমন ওঠাবসা, চলাফেরা, খানাপিনা, পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদি সমুদয় আচরণে নিজের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষাকল্পে আত্মমর্যাদার দিকে যত্নবান হতে হয়। যার ভেতর এই ভারসাম্য নেই অর্থাৎ মিলের অভাব রয়েছে তার দৃষ্টি কখনোই প্রসারিত হতে পারে না। তার চিন্তা-চেতনায় আলোকিত মানুষের কোনো... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - গাজী নিষাদ

    বেশ লাগলো। তবে পরিপূর্ণ নয়।

ব্লগার বাঙ্গাল

৯ বছর আগে লিখেছেন

আল-কোরআনের আলোকে পরিবেশ

বিশ্বজুড়ে যে উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে, তার বংশ বিস্তার পদ্ধতির প্রতি আমরা মনোনিবেশ করলে দেখতে পাব, এই উদ্ভিদ কীভাবে বিশ্বে প্রাণীকুলের জীবন নিয়ন্ত্রণ করছে। উদ্ভিদের ওপর গবেষণা করে বহুসংখ্যক তথ্য পাওয়া গেছে। উদ্ভিদ বংশ বিস্তার পদ্ধতিতে মূল উদ্ভিদের কোন অংশ নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করে, তা আমরা অবহিত হতে পারি। অযৌন বংশ বিস্তার পদ্ধতি কেবল নিম্নশ্রেণীর উদ্ভিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যা মুল উদ্ভিদ দেহের বিশেষ কোষকলাকে একটি নতুন বৃক্ষ জন্মাতে সাহায্য করে। এই উভয় প্রকারের নিচুশ্রেণীর সীমিতসংখ্যক উদ্ভিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। উচ্চশ্রেণীর আড়াই লাখ প্রজাতির উদ্ভিদ বংশ বিস্তারে যৌন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে।
বলা যেতে পারে, আমাদের চোখে যেসব উদ্ভিদ হেমি, তার বংশ বিস্তার মূলত যৌন সংযোগে হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় প্রকৃতিতে যে অদ্ভুত নিয়ম-কানুন পরিলক্ষিত হয়, তা একদিকে যেমন সুদৃঢ় তেমনি জটিল এবং চিত্তাকর্শক। অথচ পুরো ব্যাপারটিকে একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এই অনিশ্চয়তা থেকে উদ্ভুত সুনিশ্চয়তার প্রক্রিয়ায় সামান্যতম ব্যতিক্রম বা পরিবর্তন ঘটলে প্রকৃতি মারাত্মক অস্তিত্বের ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে পড়তে পারে। এমনি পরিস্থিতির উদ্ভব হলে কোনো প্রজাতির কোনো কোনো সময়ের পরিস্থিতিতে চিরদিনের জন্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছু না।
উদ্ভিদের বংশ বিস্তারের প্রধান সাহায্য আসে বাতাস, কীট-পতঙ্গ, পাখি ও পানি থেকে। ফুলের পরিণত পুংকেশর লাখ লাখ পরাগরেণুকে উপযুক্ত করে রাখে। এই পরাগরেণু কেবল সঠিকভাবে গর্ভকেশরে প্রতিস্থাপিত হলেই নিষেকীকরণ সম্পন্ন হতে পারে এবং ভবিষ্যতের বংশবিস্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত হতে পারে। আর এর জন্য চাই একসঙ্গে অনেক কিছুর সমন্বয়, যে সমন্বয়ের বিষয়ে আমরা অনেক কিছু জানি না বিধায় বিষয়টি আমাদের তত মনোযোগ আকর্ষণ করে না।
পুংকেশরের লাখ লাখ পরাগরেণু সৃষ্টি হয়ে অবাধভাবে কোনো মাধ্যমে, বিশেষত বাতাসে প্রবেশ করে। এই লাখ লাখ পরাগরেণু থেকে হয়তো... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মুন জারিন আলম

    ডাকাত,খুনি,চোর যে কেউ মন থেকে ভালবাসতে পারে 

    ভাল লগল আপনার ভালবাসার মেসেজ 

    ভালবাসার পাওয়ার চরম আকাঙ্খার কথা জানলাম।ফাসীতে দন্ডিত মৃত্যূপথযাত্রী যাওয়ার আগে প্রিয়সান্নিধ্যের  আকাংঙ্খা বলে দেয় পৃথিবীর আমার জীবন কারও ভালবাসায় অর্থ খুজে পাওয়া। ভালবাসার প্রকাশ সবার হয়তবা একইরকম না কিন্তুভালবাসারপাওয়ারআকাঙ্খাতীব্রতামানবমাত্রেসবারমধ্যেএকইভাবেকাজকরে।সুন্দরএকটালেখালিখেছেনভালবাসারপ্রকৃতিনিয়ে।ভাললেগেছে।ধন্যবাদ।শুভেচ্ছারইল।

    • - ডি এম শফিক তাসলিম

      ধন্যবাদ !! আপনাকে "ধন্যবাদ" পাওয়াতে । নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল !! ভাল থাকবেন আপু !

ব্লগার বাঙ্গাল

৯ বছর আগে লিখেছেন

লজ্জা মানব চরিত্রের ভুষণ

লজ্জা মানব চরিত্রের শ্রেষ্ঠ অলঙ্কার। আল্লাহ প্রদত্ত এক অনন্য গুণ। এর উৎপত্তি ঈমান থেকে। এটি এমন গুণ যা মানুষকে সব ধরনের কদর্মতা, মলিনতা ও কলুষতা থেকে মুক্ত রাখে এবং ব্যক্তিকে পবিত্রতা, স্বচ্ছতা ও নির্মলতার চরিত্র বিকাশে বিকশিত করে তোলে।
লজ্জার অর্থ: মানসিক সংকোচন, নমনীয়তা, চারিত্রিক ভদ্রতা ও লাজুকতা।
আল্লামা কিরমানী (রহ.) বলেছেন, ‘লজ্জা এমন একটি মানসিক শক্তি, যা ব্যক্তিকে আল্লাহর নিকট ও মানুষের নিকট ঘৃণিত কাজগুলো থেকে দুরে রাখে।’
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রহ.) বলেছেন, ‘মন্দ কাজে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় আত্মা প্রদমিত থাকাকে লজ্জা বলে। নিন্দা ও সমালোচনার ভয়ে কোনো দুষণীয় কাজ করতে মানুষের মধ্যে যে জড়ত্ববোধ তৈরি হয়, সেটাই হলো লজ্জা। যদি কেউ দৈহিক ও আত্মিক শক্তিকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও যথাযথ স্হানে প্রয়োগ করে এবং পানাহারের চাহিদা ও আত্মিক কামনাসমুহ নিয়ন্ত্রণ এবং যথাস্থানে ব্যবহার করে, তবে তার মধ্যে লজ্জার বিকাশ ঘটতে পারে।
লজ্জার উপকারিতা সুদুরপ্রসারী: ঈমানের পুর্ণতার জন্য লজ্জার প্রয়োজন। কারণ ঈমান যেসব নেক কাজের দাবি করে, লজ্জা ওইগুলোর সহায়ক।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।’ সুতরাং ঈমান থাকা না থাকার বিষয়টি লজ্জার ওপর নির্ভরশীল।’
রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, ‘যার লজ্জা নেই, তার ঈমান নেই।’
লজ্জা ও ঈমান একে অপরের পরিপুরক: রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘লজ্জা ও ঈমান পরস্পর অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। যখন দু’টির একটি চলে যায়, তখন অপরটিও চলে যায়।’
হাদীসে এসেছে, ‘একদা রাসুল (সা.) এক আনসারী সাহাবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শুনতে পান, সে তার ভাইকে বেশি লজ্জাশীল না হওয়ার উপদেশ দিচ্ছিলেন, তখন রাসুল (সা.) বলেন, তাকে ছেড়ে দাও; কেননা লজ্জা হলো ঈমানের অংশ।’ (আবু দাউদ)
সুতরাং দেখা যায়, লজ্জা ও ঈমানের সম্পর্ক গভীরভাবে বিদ্যমান।
লজ্জা চরিত্রের ভুষণ: লজ্জা মানুষকে যাবতীয় অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নোংরামি থেকে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - মুন জারিন আলম

    হেলালের হ্যারি হওয়ার চমৎকার কাহিনীটি পড়লাম রথী ভাই।ভাল লাগল বেশ।ধন্যবাদ মজার গল্পটির জন্য।

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      মুন আপু ধন্যবাদ আপনাকে । আপনাকেও শুভেচ্ছা রইলো।

    - বাঙলা বেলায়েত

    হ্যারির গল্প ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      ধন্যবাদ বেলায়েত ভাই। শুভেচ্ছা রইলো

ব্লগার বাঙ্গাল

৯ বছর আগে লিখেছেন

আত্মীয়তার সম্পর্ক

সম্পর্কের সীমারেখা বা সংজ্ঞা : আত্মীয়তার সম্পর্কের কোনো নির্দিষ্ট সীমানা বা সংজ্ঞা নেই। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী তা নির্ধারিত হয়। প্রচলিত রীতি যেটাকে সম্পর্ক বজায় রাখা মনে করে সেটা ধর্তব্য। আর যেটাকে সম্পর্ক ছিন্ন করা মনে করে সেটা বর্জনীয়।
আল্লাহ তাআলা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘এবং যারা বজায় রাখে ঐ সম্পর্ক, যা বজায় রাখতে আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন।’ (সুরা রাদ, আয়াত : ২১)
তিনি নিকট আত্মীয়দের অধিকার আদায়ে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘আত্মীয়-স্বজনকে তার হক দান কর।’ (সুরা ইসরা, আয়াত : ২৬)
আল্লাহ তাআলা হাদিসে কুদসীতে ‘সম্পর্ক’-কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘যে ব্যক্তি তোমাকে ঠিক রাখবে, আমি তাকে মিলিয়ে রাখব আর যে তোমাকে ছিন্ন করবে, আমি তাকে ছিন্ন করব।’ (বুখারী, হাদিস নং : ৫৫২৯)
সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে খুব সর্তক করেছেন এবং একে পৃথিবীতে বিঃশৃংখলা সৃষ্টি বলে সাব্যস্ত করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘ক্ষমতা লাভ করলে সম্ভবত : তোমরা পৃথিবীতে বি:শৃংখলা সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে।’ (সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত : ২২)
নবী করিম (সা.)বলেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (বুখারী, হাদিস : ৫৫২৫)
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার ফজিলত : আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। তন্মধ্যে কিছু উল্লেখ করা হল।
১. সম্পর্ক বজায় রাখা রিজিক বৃদ্ধি এবং দীর্ঘজীবী হবার কারণ এবং উভয়ের মাঝে বরকতের কারণ।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার রিজিক প্রশস্ত হওয়া এবং মৃত্যুর সময় পিছিয়ে দেওয়া কামনা করে, তার উচিত আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা।’ (বোখারি, হাদিস : ৫৫২৭)
২. এ কাজ জান্নাতে প্রবেশের কারণ হবে।
আবু আইয়ুব আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুলকে (রা.) বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে এমন আমল বলে দিন যা আমাকে... continue reading
Likes Comments
০ Shares
Load more writings...