আজকে অফিসের প্রথম দিন নিভার।অফিসে ঢুকতেই অফিসের সবাই তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। চোখের কাজলে চোখ দুইটা যেন মৃদু হেসে যাচ্ছে,চাঁদনী রাতের মতো চুল গুলোও শুভ্র ছড়াচ্ছে, গোলাপি ঠোঁট আর গোলাপি শাড়ীতে আজ তাকে গল্পের অপরূপ ডানাকাটা পরীর মতোই লাগছে। এমন মেয়ের দিকে সবাই তাকাবে সেটাই স্বাভাবিক। নিভা এদিক ওদিক একবার চোখ মেলে সোজা বস এর রুমে চলে গেলো। -মে আই কামিং স্যার? --ইয়েস।প্লিজ সিট। -কেমন আছেন? --ভালো। আপনি? -জ্বী স্যার ভালো। --কাজের কথায় আসি তাহলে......(কথা শেষ না হতেই) ব্ল্যাক ফুলস্লিভ শার্ট,ব্লু কোট-প্যন্ট,লাইট ব্লু টাই আর ব্ল্যাক শু,চুলের ক্ল্যাসিক কাটে সিঁথিতে জেল দেয়া লালচে সাদা বর্ণের স্মার্ট ইয়ং ম্যান হাতে একটা ফাইল নিয়ে দরজার ওপাশ থেকে। -মে আই কামিং স্যার? চেনা কন্ঠ শুনে নিভা একটু পিছনে তাকিয়েই অবাক,ঘাবড়ে গেলো, চোখে প্রশ্নবোধক চিহ্ন... --ইয়েস মিস্টার তাযিন।প্লিজ সিট। তাযিন ও নিভাকে দেখে অবাক!কিন্ত অবাক না হওয়ার ভান করে.... -স্যার ফাইলটা একটু চেক করে নিন। --ওকে.....। আর মিস নিভা তাযিন ই আমাদের কোম্পানির সব ক্লায়েন্ট দের সাথে ডিল করে।আপনি এখন থেকে তাযিন সাহেবের সাথেই কাজ করবেন। নিভা এখন আরও অবাক হয়ে গেলো। -অকে স্যার। তাহলে তাযিন সাহেব আপনি উনাকে উনার বসার রুম টা দেখিয়ে দিন। -অকে স্যার। দুজনেই বস এর রুম থেকে বের হয়ে আসলো। নিভা মনে মনে বলছে যেই ছেলেকে আমি দুই বছর আগে ইমমেচুয়ের ছিল তাই ব্রেকআপ করেছি।এলোমেলো চুল,ঢিলেঢালা পোশাক এমনকি তখন সে নিজেকেই গুছিয়ে রাখতে পারতো না আর কখন কি কথা বলতে হবে সেটার কোনো জ্ঞানই ছিল না।সেই ছেলে আজ এতো বড় কোম্পানির ক্লায়েন্ট দের সাথে ডিল করে! -মিস নিভা এটা আপনার রুম। -তুমি আপনি করে...
continue reading