Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মোহাম্মদ অয়েজুল হক

৮ বছর আগে লিখেছেন

ভাগ দেবেনা (প্রতিযোগীতা/ক্যাটাগরি 1 , চতুর্থ পর্ব)

অনুভূতি গুলো ভাগ করতে চেয়েছি 
নির্ঘুম রাত আর দুঃস্বপ্নের ঘুম ভাংগা
এলোমেলো দীর্ঘশ্বাস হাতড়ে না পাওয়া তীর,কূল 
সূর্য ডোবার আগে আবছা আলোয় দূঃখ গুলোর ভাগ চেয়েছি 
নিঃসঙ্গ সঙ্গী চায় না
মায়াবী আজ শোকাতুর, ভাগ দেবে না
দুঃখ গুলো পুজি করে দীর্ঘশ্বাসে ওড়ার স্বপ্ন
ব্যাঁথার সাগর পাড়ি দেবে,ভাগ দেবেনা
আমি বাহন হব,ব্যাঁথার সাথে ভাগ বসাব 
যাত্রী তবু উঠবে না।
আমি অনুভূতির ভাগ চেয়েছি 
ভাগ দেবেনা! continue reading
Likes Comments
০ Shares

মোহাম্মদ অয়েজুল হক

৮ বছর আগে লিখেছেন

সে তিনি এবং আমি (প্রতিযোগীতা/ক্যাটাগরি 3 , চতুর্থ পর্ব)

বেশ চমৎকার একটা শিরোনাম লিখেছি। আজকাল নিজের সবকিছুই কেমন চমৎকার মনে হয়। মনে করতে পারেন, আমি আজ ফুটবল খেলেছি অথবা ক্রিকেট কিংবা কোন একটা প্রোগ্রামে গান করেছি বা বক্তব্য দিয়েছি। আমার কাছে মনে হবে সব কিছুই চমৎকার হলো। চমৎকার খেললাম, গান করলাম, চমৎকার বক্তব্য দিলাম…. চমৎকার। সব মিলিয়ে আমি নেতা না হলেও নেতাদের গুনাবলী আমার ভেতর পয়দা হতে শুরু করেছে। নেতাদের সব কিছুই যেমন চমৎকার, সঠিক ও নির্ভুল তেমনি আমারও….!
দলের কথা বলি যে দল যখন ক্ষমতায় যায় তাদের আমলে তাদের দৃষ্টিতে দেশটা চমৎকার চলে। আহা দেশ, এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ চমৎকার চলছে। নেতাদের ভাষায় দেশটা খরস্রোতা নদীর স্রোতের মতো সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ যেন একটা লঞ্চ আর দেশের জনগন সে লঞ্চের যাত্রী। ভেসে চলা বাহনে প্রকৃতিপ্রেমী জনগন সারাক্ষণ আনন্দে গান করে- ওরে নীল দরিয়া
পানি খাব পেট ভরিয়া।
দোষ হোক বা চমৎকার কোন গুন হোক এটা সত্য যে, আমরা কবির প্রত্যাশাকে অপূর্ণ রেখে কথায় বড় হয়েছি। আমরা বড় হয়েছি প্রতিহিংসায়। যারা পেপার পত্রিকা পড়েন, তারা দেয়াল পত্রিকা নামক এক ধরনের পত্রিকার খবরও জানবেন। বড় হাতে লেখা টানানো দেয়ালের মতো পত্রিকা। হাফিজুর আমাকে দেয়াল পত্রিকা দেখাতে এক সরকারী অফিসে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে আমি বলি, পত্রিকা কই!? হাফিজুর আমাকে বাথরুমের দিকে নিয়ে যায়। বাথরুমে ঢুকে আমি অবাক! চার দেয়াল ভরে লেখা। কত লেখা! আমি সামান্য র্বননা দেই। (উপর থেকে)
মল ত্যাগ করিবার সময় ধুমপান করিবেন না।– বিমল
বিমল একটা গাধা।
উপরের তিন শব্দ যে লিখিয়াছে সে একটা গরু- বিমল
আমি গরু না তুই গরু
ভাল উপদেশ যার সহ্য হয়না সে শুয়োরের চেয়েও নিকৃষ্ট।– বিমল
ওরে বিমল…….. ওরে …… এর বাচ্চা!
আমি আর সামনে অগ্রসর হতে পারছি না। অগ্রসর... continue reading
Likes Comments
০ Shares

মোহাম্মদ অয়েজুল হক

৮ বছর আগে লিখেছেন

ফেয়ারওয়েল ( ব্লগিং প্রতিযোগি তা -২০১৬।।ক্যাটাগরি -2।। পর্ব-৪)

ফেয়ারওয়েল মোহাম্মদ অয়েজুল হক : দোতালার খোলা বারান্দায় অনেক সময় ধরে বসে আছেন রশিদ সাহেব। তার মাথায় একটাই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। সময়ের চিন্তা। দেখতে দেখতে কতোটা সময় পার করে ফেললেন। আবার ভাবেন কি পার করলেন? কি! ছোট দেহ বড় হলো। সুঠাম হলো। উচু লম্বায় কম ছিলেন না। পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি। সাদা চামড়ার শরীর। লম্বা মুখ। চওড়া বডি। সব মিলিয়ে একজন সুপুরুষ। নারীর কাছে স্বপ্নের। পিতা মাতার কাছে স্নেহের। আদরের। মেট্রিক পর্যন্ত পড়েছিলেন রশিদ সাহেব। আজকাল লোকজন বলে, আগেরকালের মেট্রিক পাস। একটা আলাদা দাম আছে। সে সময় মেট্রিক পাস ছেলে সাত গ্রাম খুজলে দু'একটা পাওয়া যেত কিনা সন্দেহ। বাবার সংসারে টানাটানি থাকার পরও কষ্ট করে লেখাপড়া শিখেছেন। মেট্রিক পাস করে চাকরি পেতে দেরি হয়নি। গ্রাম ছেড়ে ঢাকা যেতেই একটা ব্যাংকে চাকরি হয়ে যায়। সে দিনগুলো স্বপ্ন হয়ে চোখে ভাসে। মুনের কথা বেশ মনে আছে। মুনমুন। নামটা কে রেখেছিল? ওর বাবা না মা? অন্য কেউও রাখতে পারে। দাদী-নানী গোছের কেউ। সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাওয়া মানুষ। রশিদ সাহেবের পাশে বসতো মেয়েটা। পাশের টেবিলে। আকাশি রংটা সম্ভবত পছন্দ ছিল ওর। বেশিরভাগ দিনই ঐ কালার শাড়ি পরে আসতো। চুলগুলো কোমর পর্যন্ত লম্বা। মাঝারি গড়ন, দুধে আলতা মেশানো গায়ের রং। ভারী সুন্দর একটা মিষ্টি মুখ। এসেই সালাম দিত।
‘ কেমন আছেন?'
মধু মেশানো কন্ঠস্বর রশিদ সাহেবকে ভাবনার সাগরে ডুবিয়ে দিত। ভাবতেন, এতো সুন্দর কন্ঠ কিভাবে হয় মানুষের! ‘ জ্বি ভাল, আপনি?'
মুনমুন হাসতো। মুখে হাসি রেখেই জবাব দিত, ‘ ভাল আছি।'
‘ আপনার বাবা-মা?'
‘ ওনারাও ভাল আছেন।'
কাজের ফাঁকে ফাঁকে তাকাতাকি হতো। চোখে চোখ পড়লেই হাসতো মুনমুন। বেশ খাতির হয়েছিল মেয়েটার... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মাসুম বাদল

    খুব খুব  ভাল... 

    - চারু মান্নান

    বাহ দারুন কবি

মোহাম্মদ অয়েজুল হক

৮ বছর আগে লিখেছেন

কথা ( ব্লগিং প্রতিযোগি তা -২০১৬।।ক্যাটাগরি -১।। পর্ব-৩)

কথায় বিষ,কথা বিষ!
কিছু কথা তরবারি-আরও তিক্ষ্ণ। 
কথায় মায়া, জাদুর কথা 
মায়ার কথা স্বপ্ন বোনায় 
জাদুর কথা 
দূরের কথা, কাছের কথা
মুখের কথা, মনের কথা
কতো কথা কথায় নাকি জাদু আছে!
একটা কথায় নির্ঘুম চোখ
ভাল কথা,মন্দ কথা
কথায় ছাড়ে,কথায় জোড়ে
কথায় ভাংগে, কথায় গড়ে
কত কথা-কথায় জীবন ;সারাক্ষণ 
কথায় কথা-জন্মে আমার।
সূর্য ডুবার আগে আর কারো না- জীবন।
ফিকে কথা; মিছে কথা
কথার খেলা চলছে কথা;
মুখ টিপিনা, চলুক। continue reading
Likes Comments
০ Shares

মোহাম্মদ অয়েজুল হক

৮ বছর আগে লিখেছেন

বই মেলা - ম্যালা বই

বই মেলা - ম্যালা বই
মোহাম্মদ অয়েজুল হক
আমাদের দেশে মাসব্যাপী বইমেলা হয়। লেখকরা সারা বছর ধরে যা লেখেন বইমেলার মাধ্যমে তা পাঠকদের সামনে তুলে ধরেন। বইমেলা। খুব সুন্দর একটা আয়োজন। একদিন দু;দিন নয়, মাসব্যাপী। বইমেলার বদলে মাসব্যাপী ফাষ্টফুডের মেলা হলে গিলতে গিলতে আর খেতে খেতে পেট ফেটে মরার আশঙ্কা থাকত। বই পড়ে কেউ মরেনা। পড়তে পড়তে কারও মাথা ফেটে যায়না। গল্প,কবিতা,উপন্যাসের ওভারলোডের কারনে কারও মাথার ঘিলু ছিটকে বেরিয়েও যায়না। বই মনের দুয়ার খুলে দেয়, জ্ঞান চক্ষুর জন্ম দেয়। জ্ঞান চক্ষু কিন্তু যা তা ব্যপার না। সাধারন চক্ষু সবার থাকে, জ্ঞান চক্ষু সবার থাকেনা। সাধারন চক্ষু দিয়ে পানি পড়ে, চক্ষুতে ছানি পড়ে , চোখ কানা হয় কিন্তু জ্ঞান চক্ষুর কিছুই হয়না। ছানি পড়েনা, পানি পড়েনা। যতো বেশি বই পড়া হবে জ্ঞান চক্ষু ততো বেশি প্রখর হবে।
যদিও মাসব্যাপী বইমেলা হয় কিন্তু বই কেনার ব্যপারে আমরা আজও সেকেলে রয়ে গেছি। বইমেলায় প্রচুর দর্শনার্থী বই দর্শন করতে আসেন। আমি ভাবি যারা আসেন তারা সবাই যদি একটা কিছু নিয়ে যেতেন তাহলে ষ্টলের বই শেষ হয়ে ষ্টলের বাঁশ, খুটি, প্যান্ডেলের কাপাড় কিছুই থাকত না। কিন্তু আশ্চার্যভাবে অসংখ্য ভাল ভাল বই থেকে যায়। লেখকদের সুন্দর সুন্দর বই গুলো সুন্দরভাবেই পড়ে থাকে।
ক’বছর আগে মেলায় এক লেখক বন্ধুর সাথে দেখা। উস্কোখুস্কো চুল। মনে হয় অনেকদিন গোসল করেনা। চোখ দুটো লাল। মনে হয় অনেক দিন ঘুমায় না। শরীরটা রুক্ষ। মনে হয় অনেকদিন নিয়ম মতো খাবার খায়না। ওকে দেখে আমার প্রথম কর্তব্য যা তা হলো বইমেলায় প্রকাশিত তার তিনটি বইয়ের খোঁজ নেয়া। সেই হিসাবে প্রশ্ন করে ফেলি, কিরে বই গুলো কেমন চলছে? আমার প্রশ্ন শুনেই লেখক বন্ধু মহোদয় তেলে... continue reading
Likes Comments
০ Shares