ব্রেসলেট (The Bracelet ) "দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে বেশ ঝামেলায় পড়ি । বিশেষ করে এমিলিয়ার সামনে। এমিলিয়া আমার বর্তমান সঙ্গী । আমি এমিলিয়াকে কিছুটা ভালোওবাসি । প্রচণ্ড দুঃসময় এ হাত ধরে রাখা খুব অল্প কয়েকটা মেয়ের মাঝে এমিলিয়া একজন। এই এমিলিয়া যখন লাল সবুজ হলুদ রং এর একটি ব্রেসলেট কেন আমি হাত থেকে খুলি না কোন সময় – এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় তখন সত্যিকার অর্থে় মন খারাপ হয় । শ্রুতির সাথে পরিচয় আমার মেয়েবন্ধু অ্যাথনিয়ার মাধ্যমে। শ্যাম বর্ণের কালো চুলের উপমহাদেশীয় নারী শ্রুতি। প্রথম দেখাতেই মেয়েটির প্রেমে পড়লাম। অজানা কারনে প্রচণ্ড রকমের অহংকারী মনে হয়েছিল ওকে। যদিও শ্রুতির সাথে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তবু আমি ভালো বুঝতাম না ওকে। অদূরের ইউনিভার্সিটি অব এথেন্সের সাইক্রিয়াটিস্ট এর লেকচারার মেয়েটা। যার কোন কন্টাক্ট নাম্বার নেই। ভাবতে় অবাক লাগতো। এমনকি তার কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও ছিল না। যদিও মেয়েটির বন্ধুর অভাব ছিল না। টিচার্স কলোনির বিলাসবহুল সুইচরুম ছেড়ে এতোটা দূরে সিমসাম এপার্টমেন্ট নেয়াটাও আমার কাছে রহস্যপূর্ণ ছিল। অনলাইন এর যুগে খবর এর কাগজ এর চলন টা প্রায় উঠে গেছে । তবু প্রতি সকাল এ একটি নিগ্র ছেলে শ্রুতির দরজার সামনে খবর এর কাগজ রেখে যেত। সেই খবর এর কাগজ অনেক সময় নিয়ে পড়তো শ্রুতি। খুব বেশি অগোছালো প্রকৃতির সে । প্রচুর বই পড়ার অভ্যাস এবং গভীর রাতগুলোতে গ্রীসের রাস্তায় একা একা হাঁটত মেয়েটি । আমি গভীর বিস্ময় এর সাথে আবিষ্কার করলাম অ্যাথনিয়ার সঙ্গে আমার দূরত্ব বাড়ছে। প্রতি সন্ধ্যায় ইরাকাস স্ট্রিট এ শ্রুতির সাথে হাঁটতে হাঁটতে আইসক্রিম খাওয়াটা দৈনন্দিন রুটিন এ পরিণত হল। মাঝে মাঝে এই মেয়ে খুব অসংলগ্ন আচরণ...
continue reading