আত্নসংযম,কঠোর,পরিশ্রম সাধ্য,
একনিষ্ঠ,পূণঃপ্রচেষ্টা,কর্তব্যপরায়ণ-
এদের কেউ কেউ আহত কেউ কবরে শায়িত আজ।
অনেকেই আবার বিদ্ধস্ত,নিপীড়িত।
মানবাধিকার,মনুষত্ব
অথবা এদের সমমানের অনেককেই আমি দেখেছি,
যাদের চোখ ঠুকরে বের হচ্ছে তাজা রক্ত-
এরা তখনো জীবিত।
কালের সন্ধ্যায় কিছু সভ্য মানুষকে
সংসদ ভবনের এদিকটাতে দৌড়ে আসতে দেখে ভাবলাম.......।
কিন্তু না -পাল্টা ধাওয়া করতে না পারায় তাদের এ অবস্থা ।
খারাপ কিছু মানুষ ;সত্য আর সততাকে
ধর্ষণ করেছে ,খোলা ময়দানে,সেমিনারে।
নেংটা করে নাচিয়েছে জনতার সম্মুখে।
ক্ষুধার্থ কুত্তার মত কামড়ে খাচ্ছে
তাদের অপবিত্র লিঙ্গ গুলো ।
আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে
সংবিধানের এক বৈধ ধারার অনুচ্ছেদে ফাঁসি হবে
'শান্তি'নামে একটি শব্দের।
এবারের পূণঃজন্মে একটি মনুষত্ব এসেছে-
যে মানুষ খুন করে,একটি মানবাধিকার এসেছে-
যে ক্ষুণ্ন করার পদ্ধতিতে পূরণ করে থাকে অন্যের অধিকার।
একটা সভ্যতা এসেছে-
যে তৈরী করেছে ,কাঙ্ক্ষিত এক দৃশ্যপট।
সেখানে দৃশ্যায়ন হয় নানা রঙের যৌন প্রেমর শিল্প।
এখন তাদের আর জোর করে ধর্ষণ করতে হয় না ময়দানে,সেমিনারে।
নেঙটা করে নাচাতে হয় না জনতার সম্মুখে।
তারা এখন নিজ ইচ্ছায় রাত কাটিয়ে যায় আমার পাশে।
নিজেকে রক্ষীতা বানিয়ে মিশে থাকে অন্যের রক্তে-মাংসে,
নেংটা হয়ে কেপে ওঠে আমাদের তৈরী করা তরঙ্গে।
জোর করে টেনে নেয় আমাদের অপবিত্র সব অঙ্গ সমূহ।
খুব অযত্নেই আমাকে ভুলে যেতে হয়েছে
দায়বোধের সব রক্ত দেবার ঘটনাগুলো।
এখন তো আমাকে সঙ্গ দিতে হচ্ছে তাদের সাথে-
এক ঘরে বসে,শুয়ে,যেভাবে ইচ্ছা-সেভাবে।
আমি অন্ধ হয়ে গেছি,বোবা বনে গেছি
কিন্তু অকপটে খুলে গেছে আমার আপত্তিকর সেই অঙ্গ গুলো।
Comments (0)
ভালো লিখেছেন । আরো আসুক এমন বিশ্লেষণ আপনার ।