Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আবু খায়ের আনিছ

৮ বছর আগে লিখেছেন

লিখা লেখক ও লিখনী শিল্প

কিছু স্বার্থপর মানুষের (লেখক) কথা বলি। পড়ার পর কথার স্বার্থকতা খুজবেন।

 

 

ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, বিজ্ঞানী, ডিফেন্স এর চাকুরী এই কাজগুলো যারা করে তাদের বাবাদের গর্ব করার মত কিছু থাকে কিন্তু যাদের সন্তানেরা লেখালেখি করে অথাৎ লেখক তাদের মনে হয় কিছুই থাকে না। আমার সন্তান লেখক এই কথাটা আমি আজ পযন্ত কোন বাবা বা মাকে বলতে শুনিনি। এমনকি কোন ভাই বা বোন ও বলে না আমার ভাই/বোন লেখক।
লেখালেখি কোন পেশা নয়, তাই মনে হয় বলতে চায় না কেউ। তাছাড়া সবার মনেই ধারণা লেখকরা একটু ভবঘুরে, একটু অন্যরকম হয়। এই অন্যরকমটা আবার কি সেটা কেউ জানেনা।
তো স্বার্থপর কেন বললাম জানেন? না জেনে থাকলে আমার মতামতটা শুনুন।

 

পেশা হচ্ছে এমন একটা জায়গা যেখানে আপনাকে বাধ্য করা হয় কাজ করার জন্য অথবা আপনি নিজে থেকেই একটা দ্বায়ীত্ব কর্তব্য কাধে নিয়ে নেন। যেমন ডাক্তার, তার মানবিক কাজ হচ্ছে রোগীর সেবা করা।

 

কিন্তু লেখক, সে লিখে কার জন্য? স্বার্থপরা এখানেই। লেখক লিখে নিজের জন্য, নিজে আনন্দ পাওয়ার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে একটার পর একটা পৃষ্ঠা লিখে যায়। তার লেখার জন্য যদি কেউ চাপ প্রয়োগ করে তবে লেখার ব্যালেন্স ঠিক থাকে না, আবার নিজেরও কোন দ্বায়ীত্ব বা কর্তব্য নেই যে তাকে এমন কোন বিষয়ে লিখতেই যা সবার উপকার করবে। শুধু মাত্র আনন্দ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই অনেকেই লিখতে পারে, কিন্তু কাউকে আনন্দ দেওয়ার আগে ত নিজে আনন্দ পেতে হবে। তাহলে কি দাড়াল লেখক স্বার্থপর।
না এইটুকু পড়ে যা ভাবছেন তা নয়? লেখক স্বার্থপর নয়, নিজে আনন্দ পাওয়ার জন্য এত কষ্ট করে লিখার কোন প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু লিখছে কেন জানেন? নিজের আনন্দটাকে অণ্যের মাঝে ছড়িয়ে দিতে, নিজে একা নয় সব মানুষগুলোকে এক সাথে নিয়ে ভালো থাকতে। এত দুঃখ,কষ্ট আর হতাশায় ঘিরে ধরা মানুষগুলোকে স্বপ্ন দেখায়, সুখের, আনন্দের। হতাশায় ভুগতে থাকা, জীবনের শেষ অধ্যায় দেখে ফেলা মানুষগুলোকে নতুন করে বাচঁতে শেখায় এই লেখকেরা।
দেশ,জাতির ইতিহাস,ঐতিহ্য, সভ্যতা,সংস্কৃতি এই সবগুলোর ধারক-বাহক হচ্ছে লেখক এর লেখা।

 

আপনি জানেন কি? একটা মননশীল লেখাই পারে আপনার জীবনের গল্পটাকে পাল্টে দিতে? বদলে দিতে পারে আপনার আজকের এই জীবনটাকে? বিস্বাস না হলে ঘরে নিশ্চয় পেয়াজ আছে, পেয়াজ দিয়ে মুড়ি খান।

 

প্রতিভা সবার মাঝেই কম বেশি থাকে। কেউ প্রকাশ করতে পারে কেউ পারে না। শুরুতেই বলেছি লেখালেখি নিয়ে বেশি কিছু কেউ বলতে চায় না, কিংবা লেখক পরিচয়টাও কেউ দিতে চায় না। কিন্তু মজার বিষয় কি জানেন? লেখক এর প্রতি অনেকেই হিংসা করতে পারে, অন্যের লেখা নিজের বলে চালিয়ে দিতে পারে। লেখা চুরিও করে মাঝে মধ্যে। কেন করে জানেন? প্রেম করার জন্য,প্রেমিকার মন গলানোর জন্য। কবি লেখকরাই যে প্রেমের রুমান্টিকতা ধরে রাখে, তারাই যে শিখায় মানুষকে রুমান্টিক হতে।

 

তারপরেও লেখকরা মানুষ ভালো না, লুজ ক্যারেক্টার এর হয়, লুইচ্চা হয়, ডজন খানেক প্রেম করে, মিথ্যা বলে, মানুষের মন নিয়ে খেলা করে ইত্যাদি ইত্যাদি। অভিযুগের কোন অন্ত নেই।
কিন্তু যখন, বর্ষার বৃষ্টি দেখবেন বেলকুনিতে দাড়ীয়ে তখন ঠিকই লেখক এর লেখা গানটাই গুন গুন করে গেয়ে উঠবেন।

 

সমালোচকের কাজ সমালোচনা করা, করুক আমি তাদের আরো বেশি সুযোগ দেওয়ার পক্ষে। সমালোচনা না করলে উত্তর দিব কিভাবে? লিখব কি?
এই ধরুন আমার এই লেখাটাও কিন্তু কিছু সমালোচক এর জবাব।

Likes Comments
০ Share

Comments (1)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    সুন্দর কথা

    অনেক শুভেচ্ছা জানাই

    ছবি আপু--------

    • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

      ধন্যবাদ ভাইয়া :)