Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

Ahmed Bairul Sourov

৮ বছর আগে লিখেছেন

পথের ধূলো

 
-আহমেদ বাইরুল সৌরভ
 
নিস্তব্ধ পথের ধূলো
চিকচিক করে খসে পড়া নক্ষত্রের মতো
 নিস্তব্ধ পথের ধূলো যেনো
বালিকার খসে পড়া সিঁথির সিঁদুর;
কান পাতলেই শুনি মৌমাছির গুঞ্জন
চোখ মেললেই দেখি স্পর্শহীন করতল
বুকের উপর চোখের ছায়ায়।
নিস্তব্ধ পথের ধূলো যেনো
নরম ঘাসের মতো শালিকের কাছে,
দোয়েলের কাছে, ঘরহীন পথিকের কাছে।
নিস্তব্ধ পথের ধূলো
ভিজে যায় হিম হাওয়ায় নিবিড় তুষারপাতে,
ভেজায় আমাকে;
নিস্তব্ধ পথের ধূলো সমস্ত আকাশ জুড়ে আছে ,
আহা নিস্তব্ধ পথের ধূলো আমার সমস্ত করটিতে!  
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - প্রলয় সাহা

    আপনার দুঘর পরেই ছিলো আজাদের ঘর । বেঁচে যাওয়া
    আজাদের বউয়ের খবর আমি জানি, তার কোন আয় নেই
    আগেও ছিলো না । স্বামীর রোজগারে চলতো সংসার । এখন
    স্বামী নেই রোজগারও নেই । সংসারে তিনটি ছেলে মেয়ে
    ভরণ পোষণ দেয়ার কেউ নেই । তাই
    আজাদের বউ সন্ধার মিয়ানো আাঁধারে সেজেগুজে বের হয়
    রোজগারের ধান্ধায়
    কখনো রাতেই ফিরে আবার কখনো ভোরে ।

Ahmed Bairul Sourov

৮ বছর আগে লিখেছেন

কচুপাতার নৌকা- আহমেদ বাইরুল সৌরভ

-দিদি, আমিও আসি তোর সাথে?
-তোকে আসতে হবে না।এই কাঠফাটা রোদে তোর গা জ্বলে যাবে।
-কিছুই হবে না। আসি নারে দিদি।
-বললাম না আসতে হবে না। ধমক দেয় প্রমীলা।
দিদির ধমক খেয়ে থমকে দাঁড়ায় শ্যামল। আর সে সামনে পা বাড়ায় না। শীতল চোখে তাকিয়ে থাকে প্রমীলার দিকে। দু’চোখে জল টলমল কর‡Q তার।
প্রমীলার মায়া হয়। সে এগিয়ে যায় শ্যামলের দিকে। বলে, যাবি, তাহলে চল। তুই বুলুকে কোলেনে  আর আমি দুলুকে কোলেনিচ্ছি ।
বুলু আর দুলু হচ্ছে ছাগল-ছানা। চারদিন আগে তাদের ছাগির দুইটা বেটা বাচ্চা হয়েছে। প্রথমে বুলু তারপর দুলু।  বুধবারে জন্ম হওয়ায় নাম রাখা হয়েছে বুলু এবং প্রথমটির নামের সাথে মিল রেখে দ্বিতীয়টির নাম রাখা হয়েছে দুলু।
কিছু পথ যাওয়ার পরই মিঞাদের আম বাগান।
প্রমীলা বাগানের দূর্বা ঘাসের দিকে দেখিয়ে শ্যামলকে বলে, বুলুকে ছেড়ে দে। এই ঘাসগুলো খাক।
বুলু আর দুলু কোল থেকে মুক্তি পেয়েই ছুটে যায় তার মায়ের কাছে। স্তনে মুখ লাগিয়ে দুধপান করে।
বৈশাখের দিন। প্রকট সূর্যের তাপদাহ। চতুর্দিকে যেন দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। ব্ৃষ্টির দেখা নাই।
বাগানে ছোট ছোট কলি আম  পড়ে আছে। তারা সেই আমগুলো কুড়িয়ে নেই।
প্রমীলা বলে, আমের কুচি বানাবো। বাড়ি থেকে তুই একটা লবণ আর ছুরি নিয়ে আয় না।
শ্যামল আমে কামড় দেয়। বলে, তুই যা না দিদি। আমি বরং বুলু-দুলুর মাকে দেখে থাকছি।
-দেখে থাকবি, ঠিক তো?
শ্যামল মাথা নাড়ায়।
প্রমীলা আবার বলে, আমি যাবো আর আসবো। দেখিস, ছাগল যেন, মোল্লের ক্ষেতে না যায়।
তাদের এই একটাই ভয়। মোল্লের... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মাসুম বাদল

    লিখা চলুক... 

Ahmed Bairul Sourov

৮ বছর আগে লিখেছেন

ফুলবতী

ফুলবতী
-আহমেদ বাইরুল সৌরভ

যে কিশোরী প্রেমিকের হাত ধরে ছেড়েছিল উদ্বাস্তু ঘর,
বাপ-মা, কৈশোরের সমস্ত উদ্দীপনা;
সে-ই আজ নিষিদ্ধ গলির আসর মাতানো ফুলবতী
তাকেও দেখা যায় কামদেবীদের ভীড়ে।
সে-ও তো চেয়েছিলো খোলা আকাশের নিচে একটি ছোট্র কুঁড়ে,
দিনের শেষে এক চিমটে আবির খেলুক তার কেশপাশ জুড়ে;
চেয়েছিল মেঘপুঞ্জের মতো একচ্ছত্র কাশফুল।
অথচ ছদ্ম-প্রেমিক বোঝেনি তার কামনা,
শুয়োরের ছা বিকিয়ে দিলো তাকে ধান-চাল-পণ্যের মতো বেশ্যার বাজারে।
অতঃপর সে পেলো এক নিষিদ্ধ জীবন, নষ্টের লৌহদণ্ড,
আর আবর্জনার মতো মোল্লা পুরোহিতের থু থু;
অথচ কেউ শোনেনি আঁতুর ঘরে তার নাড়িছেঁড়া আর্তনাদ,
কেউ দেখেনি উরু বেয়ে ঝরে পড়া লোহিত রক্তের শিখা।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - প্রলয় সাহা

    দারুণ লিখেছিস মাধু emoticons

    - মাসুম বাদল

    চমৎকার... emoticons

Ahmed Bairul Sourov

৯ বছর আগে লিখেছেন

বাদামওয়ালা

-আহমেদ বাইরুল সৌরভ  
 
রেল লাইন। তার দুই পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট বস্তি ঘর। এখানে এলেই একধরনের বোঁৎকা গন্ধ,  নাসাছিদ্র ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ করে । ঘাস-পোড়ার গন্ধ। প্রায় সারাদিনই এখানে চলে গঞ্জিকা সেবীদের আড্ডা। রাতে এ আড্ডা আরো যুৎসই হয়। তখন এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলেরা আসে। ঘাসের পাশাপাশি পালাক্রমে চলে ফেনসিডিল হেরোইনের উৎসব। এই সমস্ত মালের জোগাড় দেয় বস্তির ভ্যানওয়ালা রিক্সাওয়ালারা। এমন কী নারী ও শিশুরাও এ কাজের সাথে যুক্ত। একজন আছেন, যার বস্তিতে খুব নামডাক। সবাই তাকে মীনাদি বলেই চিনে। এমন কোন নেশাদ্রব্য নাই, যা তার কাছে পাওয়া যায় না। থানা পুলিশ জেনেও কিছু বলে না। কারন থানায় মাসে মাসে তেজপাতা পাঠান হয়।
  এখানে যে ভালো সৎভাবে বাঁচে, এরকম কোন পরিবার নেই তা বললে ভুল হবে। আছে। তবে খুব কম।
  মীনাদি’র দেড়ার কয়েকটা কুঁড়ে পরই তনুদের কুঁড়ে। তনুর বয়স ১২/১৩ হবে। বাবা নাই। তিন বছর আগে রোড অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে। পরিবারের সদস্য বলতে, সে, তার মা এবং একটা বড় বোন আছে।  পেশায় তনু একজন বাদাম বিক্রেতা। বাদাম বিক্রি করে যে লাভ আসে, তা দিয়েই তাদের সংসার চলে। অসুস্থ মায়ের ওষুধ কেনা হয়। বোনের লেখা-পড়ার খরচ চলে।
  তনু বাদামের ঝুড়ি কাঁধে করতে করতে বলল, মা, হামি গেনু।
  প্রতিদিনই এসময় তনুর মা, ছেলেকে এগিয়ে দিতে বাইরে বের হয়ে আসেন। ছেলের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। যতক্ষণ তনুকে দেখা যায়, ঠিক ততক্ষণই তিনি তনুর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।  বিড়বিড় করে কী যেন বলে। হয়ত সন্ধ্যাবেলা তনু যাতে ‍সুস্থভাবে আবার বস্তিতে ফিরে আসে, আল্লাহর কাছে এই দোয়ায় করেন।
  প্রতিদিনের... continue reading
Likes Comments
০ Shares