Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আবিদ রহমান

৯ বছর আগে লিখেছেন

পেটেন্ট কি ?



ধরেন, আপনি কোনো কিছু আবিষ্কার করলেন। সেই আবিষ্কার-করা জিনিসটি বাজারে বিক্রি করে বেশ একটা ব্যবসা জমিয়ে তোলা সম্ভব। এখন, তোমার অনুমতি ছাড়াই আরেকজন তোমার আবিষ্কার-করা জিনিসটি বানিয়ে বানিয়ে বাজারে বিক্রি করতে শুরু করল। ব্যাপারটা কি তোমার তখন ভালো লাগবে? বিষয়টাও তো ভালো হবে না!

এখন কী করলে ব্যাপারটা বন্ধ করা যায়? হ্যাঁ, সেই রাস্তাই হল পেটেন্ট করা। তুমি আবিষ্কারটি নিজের নামে পেটেন্ট করে ফেলবে। তাহলে চাইলেই কেউ আর তোমার আবিষ্কার-করা জিনিসটি বানিয়ে বিক্রি করতে পারবে না। করলে, তুমি মামলা করে তারও একটা বিহিত করতে পারবে।

 তাহলে যেটা দাঁড়াল, পেটেন্ট হল একধরনের অধিকার। তুমি কোনো কিছু আবিষ্কার করলে রাষ্ট্রকে জানাবে, এটা তোমার আবিষ্কার। এটা বানানোর অধিকারও তোমার। বিনিময়ে রাষ্ট্রও তোমাকে কিছু শর্ত দিয়ে দেবে। যেমন, এই অধিকারটা কিন্তু তোমার আজীবনের নয়; একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জিনিসটি তুমি একা বিক্রি করতে পারবে। সাধারণভাবে, মেয়াদটা অন্তত বিশ বছর হয়। আবিষ্কার-করা জিনিসটার ধরন অনুযায়ী এই মেয়াদ কমবেশিও হতে পারে। আরেকটা শর্তও কিন্তু থাকে- তোমাকে আবিষ্কারের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে হবে।

 পেটেন্ট করার এই অধিকার রাষ্ট্র দেবে তো! আগে সেটা রাষ্ট্রের ইচ্ছাধীন ছিল। চাইলে কোনো রাষ্ট্র এই অধিকার না-ও দিতে পারত। পরে, বিশ্ব শ্রম সংস্থা একটা বোঝাপড়া করল যে, সংস্থাটির সব সদস্যকে এই পেটেন্ট অধিকার দিতে হবে। এখন বিশ্ব শ্রম সংস্থার ১৫৯টি সদস্য দেশকেই পেটেন্ট অধিকার দিতে হয়।

 এই পেটেন্ট শব্দটা কোথা থেকে এল? এসেছে ল্যাটিন শব্দ patere থেকে, যার অর্থ খুলে রাখা। পৃথিবীতে প্রথম পেটেন্টের ধারণা চালু হয় প্রাচীন গ্রিসের একটি শহর সাইবেরিসে, খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দে। সেটি অবশ্য এখনকার পেটেন্ট ব্যবস্থার মতো ছিল না। যা হোক, আধুনিক পেটেন্ট প্রথম চালু হয় ভেনিসে, ১৪৭৪ সালে। তবে বেশিরভাগ দেশ ভেনিসের এই পেটেন্ট ব্যবস্থা অনুসরণ করে না। যুক্তরাজ্যে ১৬২৪ সালের ২৫ মে একটি বিধিমালা পাস হয় ‘স্ট্যাচিউট অফ মনোপলিস’ নামে। পরে এটাকেই ওরা পেটেন্ট আইনে রূপান্তরিত করে। অনেক দেশই এই বিধিমালা অনুসরণ করেই পেটেন্ট আইন তৈরি করেছে।

সৌজন্যেঃ  বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

Likes Comments
০ Share

Comments (0)

  • - শাহ আলম বাদশা

    লেখার উদ্যম থাকা ভালো। কিন্তু কবিতা লিখতে হলে ছন্দজানা জরুরি। আর উপমা-তাল-লয় সম্পর্কে জানলেও কবিতার মান আরো ভাল হবে। 

    আর বেশ বানানও ভুল; যেমন- মত=মতো/মতোন, নিরবে =নীরবে,  আর সাধুভাষার শব্দ কবিতায় লা লেখাই ভালো-যেমনঃ দিব=দেবো হবে। 

     

    ভেওতরে কবিত্ব আছে বোঝা গেলো। 

    - আলমগীর সরকার লিটন

    কবিতা ভাল লাগল কিন্তু

    প্রেফাইলের ছবি যদি পরিবর্তন করতেন

    • - পিয়ালী দত্ত

      khub valo