রাত তখন ১০ঃ৩০ , চারজন বন্ধু - শুভ, সাদ, আলিফ এবং নাহিন, রেলগেট পাশের মামার দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে, তারা সকলে ই একই প্রাইভেট ভার্সিটিতে সদ্য ভর্তি হইছে, এক সাথে ই নতুন বাসা নিয়েছে, তাই নতুন বাসার জন্য কিছু টুকিটাকি জিনিস কিনতেছে, একটা ক্রোকারিজ এর দোকানের পাশে গিয়ে তারা এক অন্ধ ব্যক্তি কে দেখতে পেল সে দোকানের বাইরে দারিয়ে আছে, ভেতরে এক ছোট মেয়েকে কিছু কিনতে দেখতে পেল, মেয়েটি একটি বোল কিন্তেছিল, অন্ধ ব্যক্তিটি তার সারাদিনের আয় করা টাকা দিয়ে শুধু একটা বোল কিনতেছে তার পরিবারের জন্যে, মেয়েটি খুব ই আগ্রহের সাথে এটা ওটা দেখছে কিন্তু সে বোল ই কিনবে, কারন তার বাবা সেই অন্ধ ব্যাক্তিটির এত টুকু ই সামর্থ্য ছিল, কিন্তু সে ও তো তার এই ছোট্ট মেয়েটির এক্যাতে খাবারের কস্ট না হয় সেই প্রতীক্ষায় আছে, সাদ আর শুভ লোক্টির সাথে কথা বলতে জানতে পারলো , অন্ধ লোক্টি রেললাইনের পাশের বস্তিতে নতুন এসেছে, যে ৫০০ টাকা মাসে ভাড়া দিয়ে তার পরিবারের জন্য মাথা গোজার যায়গা করছে, কিন্তু তার এই প্রতিদিনের আয় দিয়ে সম্ভব নয়, তার এটি ই বড় মেয়ে, বয়স ৬ কি ৭ হবে, মেয়েটিকে মাদ্রাসায় ভর্তি ও করেছে, তাদের সবার ই লোকটির জন্য একটু সাহায্য করতে এগিয়ে গেলো, তারা সবাই মিলে, লোকটির পরিবারের জন্য কিছু ক্রোকারিজ মালামাল কিনে দিল যতটুকু তারা পেরেছিল, তার বিনিময়ে তারা লোক্টির কাছথেকে প্রান ভরা আর চোখ ভেজানো দোয়া , আর সেই ছোট্ট মেয়েটির মুখে এক টুকুরো হাসি পেয়েছিল, যা তাদের এই অল্প খরচেএর তুলনায় অপরিমেয়।
আসলে আমারা আমদের চারিপাশে অনেকধরনের এমন গরিব নানান পেশার লক দেখতে পাই, যদি নিজের মনে এত টুকু কেপে উঠে ওদের পরিবার, এবংজিবন যাপনের কথা ভেবে, তাহলে নিজেকে মনে হয় আমরা রাজার হালে আছি,
আমাদের প্রতিদিনের হাত খরচের টাকা থেকে যা আমরা নানাবিধ বাজে কাজে ব্যবহার করে থাকি তা থেকে অল্প কিছু টাকা যদি আমাদের পাশ্ববর্তী এমন গরিব লোকদের দেই তাহলে মনে হয় অন্তত তাদের একদিনের জন্য ভালোভাবে চলতে পারবে আর তার বিনিময়ে মনের একটু শান্তি আর এক টুকুরো অমূল্য হাসি ।।