Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

কামরুল আলম

১০ বছর আগে লিখেছেন

কবি আমি

কবি আমি কবিতার ক-টাকেও বুঝি না
ছন্দের মিল, তাল কিছু আমি খুঁজি না।
বাম থেকে ডান দিকে লিখে যাই বরাবর
কবিতার খাতা দিয়ে তাই হলো ভরা ঘর!
কথা আর কাহিনীতে নেই কোন ‘চিন্তা’
‘কবি’ সেজে এ সমাজে নাচি তা-ধিন্ তা!
কবিতার কলেবর ‘কাগজ’ এর সাইজে-
লিখে রোজ অন্তরে কত মজা পাই যে!
আধুনিক যুগে আজ এগুলোই ‘কবিতা’
ছন্দের তাল, মিল, ওঠে গেছে সবই তা!
…………………………………………
শ্যামলী আ/এ, সিলেট
১৭/০৪/২০১৪
continue reading
Likes Comments
০ Shares

কামরুল আলম

১০ বছর আগে লিখেছেন

বৈজ্ঞানিক ভালোবাসা-২

(প্রথম পর্ব)- বৈজ্ঞানিক ভালোবাসা 
‘চাকুরী তো তারাই করে যারা চাকর, আর আমার পক্ষে চাকর হওয়া সম্ভব না। তার চেয়ে বরং বাদাম বিক্রেতা হয়ে ঘুরে বেড়াবো।’ মুখে হাসি টেনে ইউসুফ আদনান এমন কথা বললেওে এটাই যে তার মনের কথা সেটা মানতে চাইলেন না বড় ভাই প্রফেসর ড. সাব্বির সোলায়মান।
‘তোমার কথার কোন যুক্তি নাই। বাদাম বিক্রেতা হলে তোমার অসুবিধা নাও হতে পারে কিন্তু আমার অসুবিধা আছে।’ গম্ভীর কণ্ঠে বললেন ড. সোলায়মান। বসার ঘরে সোফায় মুখোমুখি বসা দুই ভাই। ইউসুফ আদনান তখন সবে মাত্র মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছে। ড. সোলায়মান ইন্ডিয়ায় একটি সেমিনারে যোগ দিতে আমেরিকা হতে যাওয়ার পথে দেশে অবস্থান করছেন।
‘আমি আর এক সপ্তাহ আছি, এর মধ্যে তোমার ডিসিশন জানাবে। তবে ব্যবসা করতে চাইলে আমি কিন্তু কোন সাপোর্ট করতে পারবো না বলে রাখলাম।’ ড. সোলায়মানের কণ্ঠে আদেশের সুর। এসময় ঘরে এসে প্রবেশ করলেন মিসেস জাহানারা সোলায়মান। ইউসুফ আদনানের শ্রদ্ধেয়া ভাবী।
‘কেন ছোট ভাইটাকে এমন বকাবকি করছো? সে ব্যবসা করতে চাইলে করুক না, সমস্যা কি?’ বললেন ইউসুফের ভাবী। ইউসুফ জানে এসব কথার কোন গুরুত্ব নেই। তার বড় ভাই যেটা বলেছেন তাতেই অনঢ় থাকবেন তিনি। আর সেটাই তার জন্য কল্যাণকর। কিন্তু তার পক্ষে সেটা মানা সম্ভব না। কারণ ছোট খাটো ব্যবসায় যে ইতোমধ্যে তার হাতে খড়ি হয়ে গেছে। অন্যের অধীনে চাকরী করার যে কি ঝামেলা হতে পারে তা অনুভব করে সে নিজের অধীনস্থ কর্মচারীদের কথা চিন্তা করে। তবুও বড় ভাইয়ের কথার পিঠে আর কোন কথা বলতে সাহস পায় না ইউসুফ। কারণ তিনিই তো তার অভিবাবক। পিতা আরমান আলীর মৃত্যুর পূর্ব থেকেই তার এবং পরিবারের অন্যদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন ড. সোলায়মান। ছাত্র জীবনে সাব্বির সোলায়মানের বেশ নাম... continue reading
Likes Comments
০ Shares

কামরুল আলম

১০ বছর আগে লিখেছেন

ধারাবাহিক উপন্যাস: বৈজ্ঞানিক ভালোবাসা-১

(নক্ষত্রে এটাই আমার প্রথম পোস্ট। প্রথম পোস্ট-ই উপন্যাস কেন? কারণ হিসেবে বলা যায় আরো দু’টি ব্লগে এই ধারাবাহিকটি এখন নিয়মিত পোস্টাচ্ছি। ইতোমধ্যে ২৩টি পর্ব শেষ হয়েছে। তাই নক্ষত্রেও ধারাবাহিকটির ধারবাহিকতা বজায় রাখতেই এ প্রয়াস।)
নিজ অফিসের চেয়ারে বসে কফির মগে চুমুক দিচ্ছে ইউসুফ আদনান। ভাবখানা ঠিক যেন ‘আয়েশ করে পায়েশ’ খাওয়ার মতো! দৃশ্যটি দেখলে যে কারো মনে হবে এমন সুখী মানুষ পৃথিবীতে বোধ হয় আর দ্বিতীয়টি নেই। স্যূট টাই পরে প্রতিদিন এমনভাবে অফিসে আসা যাওয়া করে যেন বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে যাওয়া আসা করছে। আদনানের এভাবে অফিসে বসে থাকা নিয়ে সেদিন তার এক ছড়াকার বন্ধু চট করে একখানা ছড়া বানিয়ে দিল। ‘কাজহীন বেচারা/ কেউ নাই সে ছাড়া!/ ….বসে থেকে অফিসে/ পান করে কফি সে!!’ ছন্দ আর অন্তমিলের দারুণ সমন্বয়!
এই পৃথিবীতে সোনার চামচ মুখে নিয়ে অনেকেই জন্মায় তবে মোটেও সেরকম জন্ম ছিল না ইউসুফ আদনানের। গ্রামের সামান্য এক স্কুল মাষ্টারের ঘরে জন্ম তার। বাবা আরমান আলীর পুরো জীবনটাই কেটেছে মানুষ গড়ার পেছনে। ধন-সম্পদের কথা কোনদিন চিন্তা করেননি তিনি। তবে সন্তানদের মানুষ করার ব্যাপারে তাঁর ছিল এক অন্যরকম সচেতনতা। নিজে স্কুলে মাস্টারি করতে গিয়ে তাঁর মনে এই ধারণা জন্মেছিল যে, লেখা- পড়া করার জন্য স্কুল কলেজে পড়ার আসলে কোন প্রয়োজন নেই। কারণ স্কুলে আসা-যাওয়া করে কারো তেমন একটা কিছু শেখা হয় না। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই প্রাইভেট পড়ে পরীক্ষা পাস করে। তিনি যেহেতু নিজেই ভাল শিক্ষক, তাই তাঁর সন্তানদের স্কুলে দেবেন না, সিদ্ধান্ত নিলেন মাস্টার আরমান আলী। তাঁর প্রথম সন্তান সাব্বির সোলায়মান একদম ক্লাস টেন পর্যন্ত বাড়িতেই পড়াশোনা করল। কেবল নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিল এস.এস.সি’র। আরমান আলী তখন নিজেই একটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাই... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (5)

  • - আজিম হোসেন আকাশ

    শুভ কামনা। ভাল থাকুন।

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      আজিম ভাই আপনিও ভালো থাকুন এই আমাদের কামনা। 

    - জোকার ৫৩

    আপনার ইচ্ছাটাকে শ্রদ্ধা জানাই ৷ কয়জন দু'পেয়ে বাঙালীর সেই বোধটুকু আছে ৷ জীবন বাস্তবতায় এত বেশী নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত যে মানুষ কিংবা পশুর দিকে নজর দেওয়ার সময় কোথায় ? আপনার তবুতো ইচ্ছা ছিল সেটাই জাগ্রত হোক সবার মাঝে সেটাই কাম্য ৷ প্রথমে শুদ্ধ অনুভূতি পরে যথাযথ কর্ম ৷

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      প্রথমে শুদ্ধ অনুভূতি পরে যথাযথ কর্ম ৷ জোকার ভাই একবার সঠিক বলেছেন। আমি আপনার সাথে সহমত। 

    - আলমগীর সরকার লিটন

    রথি দা

    খুবি সত্যকথা বলেছৈন লেখেনো ভাল

    অভিনন্দন আর শুভ কামনা-----

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      লিটন ভাই আপনাকেও অসংখ্য অভিনন্দন ও ভালোবাসা রইলো। 

কামরুল আলম

১০ বছর আগে লিখেছেন

আজই প্রথম নক্ষত্রে পথ চলা শুরু করেছি। দেখা যাক কেমনে কি হয়?

Likes Comments